গাংনীতে সরকারি কলেজে উপস্থিত না থেকেও বেতন তুলছেন ১৭ বছর জুনিয়র হিসাব রক্ষক রবিউল

মেহেরপুর প্রতিনিধি:
মেহেরপুরের গাংনী সরকারি ডিগ্রী কলেজের হিসাব রক্ষক রবিউল ইসলাম। তিনি বিগত ১৭ বছর যাবত কলেজে উপস্থিত না থেকেও নিয়মিত বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সরকারি কলেজ হিসেবে স্বীকৃত হলেও দীর্ঘ ১০ বছর যাবত কলেজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল মনিরুল ইসলাম। এই কলেজ সরকারি হওয়ার সুবাদে শিক্ষা বোর্ড থেকে পর্যায়ক্রমে ৩জন প্রিন্সিপাল নিয়োগ দেয়া হলেও তিনি রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে ছাত্রলীগের ক্যাডারদের ব্যবহার করে সেই সমস্ত প্রিন্সিপালকে দায়িত্ব পালন করতে না দিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
কলেজের জুনিয়র হিসাব রক্ষক রবিউল ইসলাম অধ্যক্ষের নাকি জামাতা। এই সুবাদে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের সময় তাকে কলেজে অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। নিয়োগ পেয়েই তিনি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কলেজে না এসে মাস শেষে নিয়মিত বেতন উত্তোলন করেন। অদ্যাবধি সেই অভ্যাস তিনি ধরে রেখেছেন।
কলেজের অন্যান্য স্টাফরা অভিযোগ তুলে বলেন, আমরা কলেজে আসতে ১ ঘন্টা দেরি হলেই জবাবদিহি করতে হয়। কিন্তু তার জামাই মাসের পর মাস কলেজে না আসলেও কোন কৈফিয়ত করা হয় না কারন তিনি প্রিন্সিপালের জামাই। আরও জানা গেছে, তিনি সকল স্টাফকে দম্ভ ভরে বলেন, আমি আওয়ামীলীগের রাজনীতি করি। সরকারও আওয়ামীলীগের , তাহলে এখন কলেজ করতে হবে কেন !
কলেজের অফিস সহকারী, জুনিয়র অফিস সহকারী, হিসাব রক্ষক, চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীরা জানান, হিসাব রক্ষক রবিউল ইসলাম মাসের কোন দিনও অফিস করেন না। শুধুমাত্র মাস শেষে বেতন ভাতা উত্তোলন করতে কলেজে আসেন। অভিযোগ নিয়ে গাংনী সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসসিক কর্মকর্তা (প্রিন্সিপাল) মনিরুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।। ,
এব্যাপারে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা জানান, হিসাব রক্ষক হিসেবে তিনি চাকরি করেন। কিন্তু নিয়মিত কলেজে অফিস করেন না এটা তো হতে পারে না। দায়িত্ব পালন না করে কিভাবে বেতন উত্তোলন করেন। বিষয়টি জানলাম, কলেজে খোঁজ নিয়ে এবং তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Related posts

Leave a Comment